কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের গাফেলতির কারনে উপজেলার ৯ বাজারে ইজারার টাকা আদায় না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
১৪৩১ বঙ্গাব্দে উখিয়া উপজেলার ১০টি বাজারের মধ্যে ৯টি বাজারের ইজারাদার সরকারি টাকা পরিশোধ নাকরেই বাজার দখলে নিয়ে নিয়মবহির্ভূত ভাবে হাসিল আদায় শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসন ইজারাদারদের কাছথেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এই ধরনের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।
উখিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে টেন্ডারের মাধ্যমে ৯টি বাজারের সর্বোচ্চ বৈধ দরদাতাদের গত ২৮ মার্চ চিঠির মাধ্যমে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারি রাজস্ব, ভ্যাট ও টেক্স ব্যাংকে পরিশোধ করতে বলাহয়। অন্যথায় সরকারি হাটবাজার নীতিমালার বিধি অনুযায়ী ২৫% জামানত বাজেয়াপ্ত করে পূনরায় দরপত্র আহবান করা হবে বলে চিঠিতে জানান উখিয়া উপজেলা নিবাহী অফিসার তানভির হোসেন।
সোনালী ব্যাংক উখিয়া শাখা ও উখিয়া উপজেলা পরিষদ সূত্রে নিশ্চিত হওয়াগেছে উপজেলা ৯টি বাজারের কোনটিতে নিয়ম অনুযায়ী সরকারি রাজস্ব, ভ্যাট ও আয়কর জমা দেননি। সরকারি কোন নিয়ে নামেনে উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে উখিয়ার হাটবাজার গুলোতে টোল আদায় করছে ইজারাদার।
জানাগেছে গত ১৪৩০ বংলা সনের ইজারর প্রায় অর্ধকোটি টাকা পরিশোধ নাকরে উল্টো ক্ষতিপূরন দাবি করে উচ্চ আদালতে মামলা করে উখিয়ার বালুখালী বাজারের ইজারাদার। উচ্চ আদালতের নির্দেশে বালুখালি বাজারের ১৪৩১ সনের ইজারা বন্ধ রয়েছে। এই বছরও সরকারি নিয়ম নামেনে রাজস্ব বাকি রেখে উপজেলার ৯টি বাজারের ইজারাদারকে টোল আদায়ের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
অথচ জেলার অন্য সকল উপজেলায় সরকারি সকল নিয়ম মেনে শতভাগ রাজস্ব পরিশোধ করে ইদজারা দেয়া হয়েছে। একজন ইজারাদার জানিয়েছেন তিনি তার দুটি বাজারের সকল রাজস্ব পরিশোধ করতে চাইলেও প্রশাসনের পক্ষে তা নাকরার অনুরোধ জানান। এই সময় তারকাছ থেকে ৩ লাখ টাকা অনৈতিক সুবিধাও চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভির হোসেন উপজেলার ৯টি বাজারের ইজারাদার সরকারি বিধি অনুযায়ী রাজস্ব পরিশোধ না করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে যেসকল বাজারের ইজারাদার শতভাগ রাজস্ব পরিশোধ করবেনা, সেই সকল বাজারে পূনরায় ইজারা দেয়া হবে। সুত্র: কক্সবাজার জার্নাল
পাঠকের মতামত